
নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়া, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাজীপুর, পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় একের পর এক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, আসবাবপত্র ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রাহকরা ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। কিছু গ্রাহক ইতিমধ্যেই তাদের আমানত অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা দীর্ঘমেয়াদে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবসা পরিচালনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ও গ্রাহকরা ব্যাঙ্কের ঋণ শোধের জন্য বাড়ি, ভিটেমাটি বা অন্যান্য সম্পদ বিক্রি করছেন। অনেকে মনে করছেন, উচ্চ মূল্যের সুদ ও কঠোর ঋণ শোধের চাপের কারণে এই ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে।
দেশের চলমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে ড. মোঃ ইউনূসের নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংকে একের পর এক অগ্নিসংযোগের ঘটনা গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ও সন্দেহ সৃষ্টি করছে যে, ভবিষ্যতে ব্যাংক স্থায়ীভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবে কিনা।
প্রশাসন ইতিমধ্যে ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনো স্পষ্ট নয় কে বা কারা রাতের আঁধারে এই অগ্নিসংযোগ ঘটাচ্ছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানো হলেও দেশের সব শাখায় একসাথে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।
গ্রাহকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা ব্যাংকে ভরসা করতে পারছি না। আমাদের অগণিত অর্থ এবং নথিপত্র নিরাপদ কিনা সন্দেহজনক।” অন্যদিকে, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পরিকল্পিত বা সামাজিক অসন্তোষের প্রকাশ উভয়ই হতে পারে, তাই তদন্তে সতর্কতা জরুরি।
এ ধরনের অগ্নিসংযোগ ব্যাংকের পরিচালনা, গ্রাহক আস্থা এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।