মি. ব্রাইট সরকার
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। “গণঅভ্যুত্থান” নামের মুখোশ পরে কিছু অর্বাচীন, অপরিণত, এবং বিদেশি প্ররোচনায় চালিত গোষ্ঠী দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে, যারা আজ নিজেদের “জুলাই যোদ্ধা” বলে দাবি করছে। অথচ বাস্তবতা হলো এরা কেউ মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশপ্রেমিক তো নয়ই; এরা দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, সুবিধাবাদী এবং ক্ষমতার লোভে অন্ধ একদল চক্রান্তকারী মাত্র।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এখন এমন এক নাটকীয় প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করা হচ্ছে যেখানে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে কেউ আহত হলেও তাকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ঘোষণা দেওয়া হয়, একজন জনপ্রতিনিধিকে চাঁদা দিতে না চাওয়ায় হামলার শিকার হয়ে প্রতিরোধকারীকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলা হয়, আবার যারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত, তারাও “শহীদ” উপাধিতে ভূষিত হচ্ছে।
এই ভণ্ডামির রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো কিছু কথিত ‘সমন্বয়ক’, যারা আজ গোপনে বিদেশি মদদপুষ্ট হয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।
সরকারি অফিস, জেলা প্রশাসন, এমনকি সেনাবাহিনীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তোলার মহোৎসব চলছে আর এই চক্রটি একে অপরকে রক্ষা করতে ‘গেজেট’ বানিয়ে নিজেদের দণ্ডমুক্ত করার পথ তৈরি করছে।
তারা “জুলাই গেজেট” নাম দিয়ে যে প্রতারণামূলক কাঠামো দাঁড় করিয়েছে, তা আসলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির নতুন রূপ।
এটা জাতির সাথে প্রতারণা, ইতিহাস বিকৃতির একটি সর্বনাশা প্রয়াস।
এই চক্রান্ত রুখতে হলে যা করণীয়:
প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককে সজাগ হতে হবে কে কোথায় “জুলাই যোদ্ধা” বা “সমন্বয়ক” পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে তা শনাক্ত করতে হবে।
গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সত্য তুলে ধরতে হবে এই অপশক্তির মুখোশ খুলে দিতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান করতে হবে নিরপেক্ষ তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
আসুন, যারা সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তারা এক হয়ে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করি
আজ যারা দেশকে লুণ্ঠনের পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের প্রতিহত করাই হবে শেখ মুজিবের রক্তের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি, এবং আগামী প্রজন্মের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা।
এই জাতি কোনো ‘জুলাই চাঁদাবাজ’ কিংবা ‘গেজেট শহীদ’ চায় না এ জাতি চায় সত্য, ন্যায়ের ও গণতন্ত্রের বাংলাদেশ।