বাংলাদেশ এখন এক ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে ছেঁটে ফেলার মানে কেবল একটি দলের বিদায় নয়, বরং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি, সামাজিক ভারসাম্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপর এক নির্মম আঘাত।
দেশের অর্থনীতির বড় অংশ শিল্প, উৎপাদন, রপ্তানি ও কর্মসংস্থান যা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সক্রিয় ছিল, আজ তা এক ভয়ংকর সংকটে। এসব ব্যবসায়ী কেবল অর্থনীতির চালক ছিলেন না, বরং দুর্যোগ মোকাবিলা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে রেখেছেন অসাধারণ ভূমিকা।
কিন্তু ড. ইউনুসের তথাকথিত অস্থায়ী সরকার এখন সেই অর্থনৈতিক কাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। শুদ্ধি অভিযানের’ নামে শুরু হয়েছে হয়রানি, ব্যাংক লোন আটকে দেওয়া, ট্যাক্স হুমকি ও তদন্তের নামে হয়রানি। ফলে অনেকেই বিনিয়োগ গুটিয়ে নিচ্ছেন, রপ্তানি কমেছে, জিডিপি ৭% থেকে নেমে এসেছে ৩.৫%-এ।
একের পর এক পদক্ষেপ শুধু অর্থনীতি নয়, সমাজ-সংস্কৃতিকেও ভেঙে দিচ্ছে। আওয়ামীপন্থী শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীরা আজ রাষ্ট্রীয় বঞ্চনা ও দমননীতির শিকার। তৈরি হচ্ছে সামাজিক অনাস্থা ও বিভক্তি।
বিশেষজ্ঞরা একবাক্যে বলছেন আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র চালানোর প্রয়াস আত্মঘাতী। ড. ইউনুসের প্রতিহিংসামূলক প্রশাসন রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় প্রতিশোধের অস্ত্র বানিয়েছে, যার পরিণাম চরম।
বাংলাদেশ এখন প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগহীন রাষ্ট্র মানেই অর্থনৈতিক ধ্বংস ও সামাজিক বিপর্যয়।