চোখের সামনে যা ঘটছে, সেটার কোনো সমর্থন নেই, কোনো লজ্জাও নেই। এই দেশের কোটি কোটি মানুষের ঘরে আজ চাল নেই, ডাল নেই, বাচ্চার স্কুল ফিস দিতে রক্ত পানি হয়ে যাচ্ছে—আর ওদিকে বসে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক এনজিও সম্রাট তাঁর অ-সরকার নিয়ে বাজেট নামের একটা দালালি ঠাসা জাল দলিল পেশ করে অট্টহাসি হাসছে।
এই বাজেট বানানো হয়েছে সেই টেবিলে বসে, যেটার চারপাশে কেউ ক্ষুধার্ত ছিল না। কেউ বাসের হ্যাণ্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে অফিসে যায়নি, কেউ হাসপাতালের বারান্দায় সারাদিন কাটায়নি একটা বেডের আশায়। তারা জানেই না কীভাবে একজন মানুষ দিনে তিনবেলা খেতে না পেরে শুধু পানি খেয়ে ঘুমায়। তাদের জীবনে মানবতার গন্ধও নেই, আছে শুধু সংখ্যার ক্যালকুলেশন আর সুবিধাভোগীদের ডিল।
এই বাজেটের কোথাও একটা লাইনও নেই, যেটা গরিব মানুষের ঘাম জর্জরিত মুখের দিকে তাকিয়ে লেখা হয়েছে। বরং যা কিছু আছে, তা হলো—তাদের পকেট থেকে আরেকটু রসদ নিজেদের দিকে টেনে নেওয়ার ছক। আরও ভ্যাট, আরও ট্যাক্স, আরও মূল্যবৃদ্ধি। যেন দেশটা শুধু কিছু ব্যাংক মালিক, করপোরেট সিন্ডিকেট আর আমলা ব্যবসায়ীদের জন্য বানানো হয়েছে।
এটা বাজেটের নামে জনগণের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা।
আর এই যুদ্ধের নেতা? ইউনুস সাহেব। তিনি জনগণের ভোটে আসেননি। তিনি সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি স্বপ্ন দেখান না, লুট করেন। আর সেই লুটেত হুকুমে তৈরি হয় এই কাঁঠালের আমসত্ত্ব মার্কা বাজেট, যেখানে ‘সমাজ কল্যাণ’ মানে হয় বড়লোকদের জন্য কর ছাড়, আর ‘উন্নয়ন’ মানে হয় কংক্রিটের আরেকটা অপ্রয়োজনীয় স্তূপ।
এখন কথা হলো, মানুষ কি বোকা? না, মানুষ বোবা। তারা জানে সব। শুধু মুখ খুললে চাকরি যাবে, বাড়ি ভাঙবে, মামলায় পড়বে। এটাই আসল বাজেট—সন্ত্রাসের বাজেট। সন্ত্রাসের গডফাদার মোহাম্মদ ইউনুসের বাজেট। যেটা মানুষের নয়, দখলদারদের জন্য বানানো কেবল।