বাংলাদেশের কৌশলগত দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে উঠে এসেছে এই ছোট দ্বীপটি।
শেখ হাসিনার সময়ে সার্বভৌম অবস্থান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার দাবি করেছিলেন, তার শাসনামলে ওয়াশিংটন সেন্ট মার্টিনে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেই সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই হাসিনা বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে বিদেশি আধিপত্য থেকে রক্ষা করেছিলেন। “যদি আমি রাজি হতাম, তাহলে হয়তো পশ্চিমারা আমার সরকার টিকিয়ে রাখত,” এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন শেখ হাসিনা।
ইউনূস সরকারের নীরবতা বাড়াচ্ছে উদ্বেগ
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।
কূটনৈতিক মহলে ধারণা ওয়াশিংটন এখন তার প্রভাব বিস্তারের অনুকূল সময় পেয়েছে, এবং সেন্ট মার্টিন হতে পারে “ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক” কৌশলের অংশ হিসেবে নতুন সামরিক ঘাঁটির সম্ভাব্য কেন্দ্র।
ড. ইউনূসের ক্লিনটন পরিবার ও পশ্চিমা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এ আশঙ্কাকে আরও জোরালো করেছে।
ভারতের উদ্বেগ, চীনের কৌশল
দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে বলা হচ্ছে, ভারত এখন বাংলাদেশের পূর্ব উপকূলে আমেরিকান সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় চিন্তিত, অন্যদিকে চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ বাড়িয়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব প্রতিরোধে তৎপর।
বিশ্লেষকদের মতে, “বাংলাদেশ এখন ওয়াশিংটন-বেইজিং-নয়াদিল্লির ত্রিমুখী প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু।”
ভবিষ্যতের প্রশ্ন: সেন্ট মার্টিন কার নিরাপত্তায়?
অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশের অভ্যন্তরীণ অনিশ্চয়তা এবং বৈদেশিক চাপ বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সেন্ট মার্টিন এখন শুধু একটি দ্বীপ নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
শেখ হাসিনার সময় দেশ নিরাপদ ছিল, নিজস্ব নীতিতে ও সিদ্ধান্তে।