
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে দেশের সাংস্কৃতিক চর্চা সঙ্কটের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি জনপ্রিয় শিল্পী জেমসের একটি জারি গান পরিবেশনের আসর স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনা দেশের যুবসমাজ ও সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জেমস এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “গান আমাদের হৃদয়ের ভাষা। এটাকে বন্ধ করার চেষ্টা শুধু আমার নয়, পুরো যুবসমাজের স্বপ্নের উপর আঘাত। আমি ভক্তদের পাশে আছি।”
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বর্তমানে জুলাই তথ্যচিত্র নির্মাণ এবং গুম কমিশনের কাল্পনিক টেলিফিল্ম তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, যদি দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও যুবসমাজের সৃজনশীলতার ওপর মৌলবাদী প্রভাব রোধ করা না যায়, তাহলে তা দেশের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল ধারাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে দেশে জামাত শিবিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান প্রভাব দেখা গেছে। এর ফলে একের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল হচ্ছে এবং শিল্পী ও সৃজনশীল ব্যক্তিদের কার্যক্রম সীমিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি দেশের যুবসমাজ ও শিল্পী সমাজের মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি করছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা না থাকায় তারা নিজেরা স্বাধীনভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনেও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কৃতি বন্ধ করার এই প্রবণতা শুধুমাত্র একটি শিল্পীর বা সংগঠনের নয়, এটি পুরো দেশের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও যুবসমাজের সৃজনশীল ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলছে।