নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন ও কূটনৈতিক নিযুক্তিকে গভীর ষড়যন্ত্র মনে করছে ইসলামী নেতৃত্ব।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের নবনিযুক্ত আবাসিক সমন্বয়কারী রিচার্ড এস. হাওয়ার্ড, যিনি নিজেকে একজন সমকামী হিসেবে পরিচয় দেন, তার নিয়োগ এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতারা।
সংগঠনের আমির মাওলানা মামুনুল হক এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে তাদের গভীর উদ্বেগ ও ঘোর আপত্তির কথা জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এ দেশের সংবিধান, সমাজ, সংস্কৃতি ও আইন ইসলামী মূল্যবোধ এবং সামাজিক শালীনতার ভিত্তিতে গঠিত। ইসলাম ধর্মে সমকামিতা একটি ঘৃণ্য অপরাধ ও স্বাভাবিকতা থেকে গুরুতর বিচ্যুতি হিসেবে বিবেচিত। সেই প্রেক্ষিতে, জাতিসংঘ কীভাবে এমন একজন ব্যক্তিকে কূটনীতিক হিসেবে ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশের মতো দেশে নিযুক্ত করলো, তা বোধগম্য নয়।
তারা প্রশ্ন তোলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের "মানবাধিকার অফিস" খোলার প্রস্তাব এবং পরবর্তীতে একজন স্বঘোষিত সমকামীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন—এই ধারাবাহিকতা কী কাকতালীয়, নাকি এর পেছনে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভিত্তিকে নস্যাৎ করার গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে?
খেলাফত মজলিসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনা শুধু মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামাজিক শৃঙ্খলা ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তার ওপর একপ্রকার ‘সফট আগ্রাসন’। তারা সরকার ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, যেন এ বিষয়ে যথাযথ অবস্থান গ্রহণ করা হয়।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী সমকামী অধিকার সম্প্রসারণে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা বিতর্ক রয়েছে। রিচার্ড হাওয়ার্ড অতীতে পাপুয়া নিউ গিনিতে দায়িত্ব পালনকালে LGBTQ+ সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় সরব ছিলেন।
তবে, আশ্চর্যের বিষয় হলো, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি আন্তর্জাতিকভাবে সমকামী অধিকারপন্থী বলে পরিচিত, এবং অতীতে মামুনুল হকের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন—তার আদর্শিক অবস্থান নিয়েও খেলাফত নেতারা প্রকাশ্যে এখন পযন্ত কিছু বলেননি।
মন্তব্য করুন