Insight Desk
প্রকাশ : Jul 4, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

স্থানীয় ষড়যন্ত্র ও গোপন মার্কিন অভিযানের ফল ৫ আগস্ট

সাইফুল ইসলাম; এম,কে শাওন; দ্য বেঙ্গল ভয়েস

৫ আগস্ট-২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে গভীর এক কালো ছায়া ফেলেছে। সরকার প্রধানের হঠাৎ পদত্যাগ (প্রমাণহীন), দেশত্যাগসহ পুরো শাসকশ্রেণির আকস্মিক নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের হঠাৎ রাস্তায় নেমে আসা, রাষ্ট্রযন্ত্র পক্ষাঘাতগ্রস্থ হওয়া এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, সব মিলিয়ে এ এক অদ্ভুত রাজনৈতিক নাটক। 

আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ জেফরি স্যাক্স দৃঢ়ভাবে বলেন, ৫ আগষ্ট ২০২৪ বাংলাদেশে এই ঘটনার পেছনে আরেকটি স্তর বা প্রেক্ষাপট রয়েছে যেটি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নির্দেশ করে, ৫ আগষ্ট সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ‘গোপন অপারেশন’-এর ছায়া বহন করে বলে দাবী করেন তিনি। 

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রকাশ্যে জুলাই-২০২৪ এর আন্দোলন চলাকালে সমগ্র বিষয়টিকে এতদ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং অস্থিরতা সৃষ্টির নিমিত্তে ‘সেন্টমার্টিন ও সামরিক ঘাটি‘ প্রদান নিয়ে একটি পশ্চিমা দেশের গভীর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। 

খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ জেফরি স্যাক্স বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫ আগস্ট কোনো স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান ছিল না, এটি ছিল একটি মার্কিন-মদদপুষ্ট রেজিম-চেঞ্জ অপারেশনের ফল মাত্র । 

জেফরি স্যাক্স ২০২২ সালে পাকিস্তানে ইমরান খানের পতনের ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিলেন, এই অভিযোগ খোদ ইমরান খানও তুলেছিলেন। এরপর কী হয়েছিল, তার ইতিহাস আমরা সকলেই অবগত। ঠিক একইভাবে, স্যাক্স দাবি করেন, বাংলাদেশেও যুক্তরাষ্ট্র এমন এক চাপ প্রয়োগ করেছে, যার ফলে ক্ষমতাসীনদের একাংশ গোপনে দেশত্যাগ করে, সরকার অচল হয়ে পড়ে এবং একটি ‘শূন্যতা’ তৈরি হয় - যার সুযোগ নেয় কিছু দেশি বিদেশি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।

আমরা সকলেই অবগত রয়েছি যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থে কতৃত্ববাদী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী নানা সময় নানা অঞ্চলে ‘রেজিম চেঞ্জ’ এর নোংরা ইতিহাস সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে সমাজকে ভারসাম্যহীন করেছে। যার ফলাফল বহু জাতি রাষ্ট্র সবকিছু থাকার পরেও এগিয়ে যেতে পারেনি, আর সেই সুযোগে তারা সেসব দেশ ও অঞ্চলে ঘাটি গেঁড়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে। 

জেফরি স্যাক্সের কথায়, এই ধরণের covert regime-change operation যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইতিহাসে বহুবার ঘটিয়েছে । 

১৯৫৩ সালে ইরানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেককে তেল সম্পদের জাতীয়করণের উদ্যোগ নেওয়ার কারণে CIA অপারেশন ‘Ajax’-এর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে। ১৯৭৩ সালে চিলি প্রেসিডেন্ট সালভাদোর অ্যালেন্দে-কে উৎখাতে সিআইএ জড়িত ছিল, যার ফলশ্রুতিতে জেনারেল পিনোচেটের ভয়ংকর নিষ্ঠুর স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৫ সালে ইন্দোনেশিয়া সুকর্ণোর সরকার পতনের সময় গণহত্যা এবং সেনাবাহিনীর উত্থানে সম্পূর্ণ সহায়ক ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৩ সালে মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে সেনা অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। আরব বসন্তের নামে তিউনিসিয়া,  ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া সহ সবস্থানেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সিআইএ জড়িত ছিলো। ইউক্রেনেও যুক্তরাষ্ট্র ও সিআইএ এর ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। সিরিয়ায় ‘Operation Timber Sycamore’-এর মতো গোপন CIA অপারেশনে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদ্রোহ উসকে দেওয়া হয়েছে।

তার মতে, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের ঘটনাও এ ধরণের একটি অভিযানের অংশ হতে পারে। আর এইসবের ধারাবাহিকতায় স্যাক্স বলেন ‘বাংলাদেশ এই একই ছকের আধুনিক শিকার।’ এবং স্যাক্সের বাংলাদেশকে নিয়ে বলার কারণও যথেষ্ট পাকাপোক্ত- অনান্য দেশ বা অঞ্চলের মতোই ৫ আগষ্ট নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকারকে হটিয়ে এমন একটি শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাদের নূন্যতম চিন্তা চেতনা দেশ জাতি ও জাতি ইতিহাস ঐতিহ্য অগ্রগতি সমৃদ্ধি নিয়ে নেই, যা দৃশ্যমান বাস্তবতায় রয়েছে তার সম্পূর্ণটা দেশ জাতির স্বার্থ ও ঐতিহ্য ঐক্য বিরোধী। 

৫ আগষ্ট ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের বাস্তব প্রতিক্রিয়া: মিডিয়া ও ইউনূস প্রশাসনের দমননীতি
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়টিতে বাংলাদেশে জনগণের প্রতিক্রিয়া ছিল দৃঢ় ও ব্যাপক। অলিগলি থেকে সড়ক মহাসড়ক, গ্রাম থেকে শহর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, সামাজিক মাধ্যমে মানুষ প্রশ্ন তোলে - সরকার গেল কোথায়?, এই শূন্যতা কে সৃষ্টি করল?, কারা সুযোগ নিচ্ছে? 

কিন্তু এসব প্রশ্ন চেপে ধরতে প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে যে প্রশাসন তৈরি হয়, তাকে জেফরি স্যাক্স ‘দমনমূলক অন্তর্বর্তী প্রশাসন’ বলে উল্লেখ করেন।

মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ

দেশের প্রায় সবস্থানে গণঅসন্তোষ ও অধিকার আন্দোলন এবং গণবিক্ষোভকে ‘গুজব’ ও ‘উসকানি’ বলে উল্লেখ করে মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও ইউনূস প্রশাসনের প্রেসউইং। চালাতে থাকে মিথ্যা অপপ্রচার। 

জাতীয় নিরাপত্তা আইনের দোহাই দিয়ে স্বতন্ত্র সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, ব্লগারদের ব্লক এবং বিদেশি মিডিয়ার লাইভ কাভারেজ সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। মিডিয়া হাউস দখল, মিডিয়া হাউসে রাষ্ট্রীয়ভাবে ও মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ, চাঁদা আদায়, সত্য প্রকাশে বাধা - তাদের অনুমোদন ছাড়া প্রকাশ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, গণমাধ্যমের অনুমোদন বাতিল, প্রশ্ন করার অপরাধে সাংবাদ কর্মীদে চাকরিচ্যুত করা, সাংবাদিকদের বিভিন্ন মামলায় জড়ানো ও গ্রেফতার। 

ইউনূস প্রশাসনের পদক্ষেপ

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে ফেলা, VPN ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করে জিজ্ঞাসাবাদ। কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের হুমকি, হয়রানি, হেনস্তা ও গ্রেফতারসহ মামলা জড়ানো। ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত দাবী করলে বা দাবীর পক্ষে আন্দোলন বা কথা বললেই ‘মব সন্ত্রাস দিয়ে হুমকি হামলা অরাজকতা সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী তকমা’ দিয়ে বিচারবহির্ভূত আটক।

আন্তর্জাতিক সংস্থার মুখ বন্ধ রাখতে কূটনৈতিক অপ তদবির ও উন্নয়ন সহযোগিদের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা। এসব পদক্ষেপ জনরোষকে দমাতে সাময়িক সফল হলেও, দুনিয়াজুড়ে গণতান্ত্রিক শক্তি ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিষয়টিকে উপেক্ষা করেনি।

জাতিসংঘে প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ জেফরি স্যাক্স সরাসরি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই ‘রেজিম চেঞ্জ অপারেশন’ এর বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্ত করার জন্য। তার মতে ‘জাতিসংঘকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তারা শুধু প্যালেস্টাইন বা ইউক্রেন নিয়ে বিবৃতি দেয় না; তারা এশিয়ার ভেতরকার রেজিম-চেঞ্জ ষড়যন্ত্রেও কার্যকর রয়েছে কী না।’ স্যাক্স বিশ্বের সভ্য সার্বজনিন প্রতিনিধিদের প্রতি জোর দিয়ে প্রস্তাব রাখেন - ‘যদি আমরা সত্যিকারের আন্তর্জাতিক ন্যায়ের কথা বলি, তবে এই ধরণের covert regime change‑এর বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।’

স্যাক্স তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবিও তুলেছেন

UN Human Rights Council এর অধীনে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ। বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশি মদদ ও অর্থের উৎস যাচাই-বাছাই বিশ্লেষণ করা। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে UNESCO ও UNDP’র তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

International, Human Rights Watch সহ একাধিক সংগঠন ৫ আগস্ট পরবর্তী দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কিছু আফ্রিকান দেশের কূটনীতিকরাও জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক আলোচনার দাবি তোলেন। তবে জাতিসংঘ এখনও পর্যন্ত ‘ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা রক্ষা’-র নামে কেবলমাত্র একটি মৃদু বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থেকেছে - যা স্যাক্সের ভাষায়, ‘জাতিসংঘের চরম নৈতিক ব্যর্থতা’।

কেবল সত্য উন্মোচনই নয় একটি জাতির আত্মরক্ষার প্রয়োজনে মানবিক তাগিদে ৫ আগস্ট নিয়ে সবিস্তারে তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ মানবিক ও নৈতিক একটি দায়। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া ৫ আগষ্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনার নাম নয়। এটি আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির এক মারাত্মক পরীক্ষা। জেফরি স্যাক্স সতর্ক করেছেন -  ‘যদি আমরা এই অপারেশনকে চিহ্নিত না করি ও প্রতিরোধ না গড়ি, তবে গণতন্ত্রের নামে পুতুল সরকার আর ভাড়াটে প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।’ যা প্রেক্ষাপট তৈরি করবে ‘নৈতিকতা বিবর্জিত মানবিক মূল্যবোধহীন’ বৈশ্বিক সমাজব্যবস্থার। এবং এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো - নিজের ভবিষ্যৎ নিজে লিখে ফেলা। মিডিয়া, একাডেমিয়া, সচেতন নাগরিক সমাজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের একসাথে জেগে উঠতে হবে। নাহলে ৫ আগস্ট শুধু ইতিহাস নয়, অন্ধকার ভবিষ্যতের পূর্বাভাস হয়ে উঠবে।

জেফরি স্যাক্সের মতো প্রভাবশালী ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত অর্থনীতিবিদ যখন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ‘মার্কিন গোপন অভিযান’ বলে চিহ্নিত করেন, তখন সেটিকে অন্তত বাংলাদেশের শান্তি সমৃদ্ধি উন্নয়ন অগ্রগতি ভাবাপন্ন মানুষজনের সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। 

বাংলাদেশে ঘটা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টকে নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে- এটি কি শুধুই একটি আন্দোলন ছিল, না কি বড় কোনো ভূ-রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহৃত মাঠ? দেশ জাতির ভবিষ্যতের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে গোপন বিদেশি হস্তক্ষেপ ও অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার জোড়া বিশ্লেষণ এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাইফুল ইসলাম; এম,কে শাওন; দ্য বেঙ্গল ভয়েস : লেখক, কলামিস্ট, গণমাধ্যমকর্মী

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপদেষ্টা আসিফের মদদে কুমিল্লায় হিন্দু নারী গণধর্ষণের শিকার!

1

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সামনে

2

৬০০ কোটি টাকার হাসপাতাল এখন জুলাই আহতদের ‘আবাসিক হোটেল’

3

সেবা নিতে হয় ঘুষ দিয়ে, মত প্রকাশেও শ্বাসরোধ

4

ইউনূসের আশকারায় মবের রাজ হাসনাত, রুখবে কে?

5

ইউনূসের জঙ্গি সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল শিক্ষার্থীরা

6

জুলাই: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের পুনরুত্থানের মাস

7

ভোট না দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন ইউনূস, নতুন অস্ত্র পিআর পদ্ধতিত

8

কারা ও পুলিশ হেফাজতে ২৬ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা

9

যে কারণে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলছে ভারত-ইংল্যান্ড

10

ইউনূসের বক্তব্য যেন ভূতের মুখে রাম নাম

11

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

12

বিএনপিকে জলাঞ্জলি দিয়ে এসেছে তারেক, গেইনার শুধুই ইউনুস

13

‘ছয় মাসের বেশি টিকবে না—এসব শুনতে শুনতে ১০ বছর কাটিয়ে দিলাম’

14

১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

15

খলিল-তারেকের গোপন বৈঠক: করিডোর ইস্যুর আড়ালে দেশ ধ্বংসের নীলন

16

কোটার জায়গায় কোটা রইল, মেধার হলো না জেতা

17

ইউনুস গংদের দ্বৈত নাগরিকত্বই দ্বিচারিতার মূল কারণ

18

জঙ্গিবাদীদের আবাধ দৌরাত্ম; রহস্যজনক প্রশাসনের নীরবতা

19

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন খেলার মাঠ পার্বত্যাঞ্চল; আলোচনায় চট্টগ্র

20