সাংবাদিকদের রিপোর্টিং যে কারনে আতঙ্কিত করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতাসীনদের
বগুড়ায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তার দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক ফয়সাল হোসাইন সনির বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়ে নিজের মুখোশ নিজেরাই খুলে বসেছে ক্ষমতাসীন দুর্নীতিবাজ চক্র। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটা মোহাম্মদ ইউনুস ও তার অ-সরকারের লাগামহীন দৌরাত্ম্যের আরেকটি প্রমাণ। এই নোটিশ আসলে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যার হুমকি, সত্যকে চেপে রাখার ষড়যন্ত্র, এবং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার আত্মরক্ষার হীন প্রচেষ্টা মাত্র।
মাহবুব উল আলম নামের এই ব্যাংক কর্মকর্তা চাকরির আড়ালে সুদের ব্যবসা করে সাধারণ উদ্যোক্তাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে, আর তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে মোহাম্মদ ইউনুসের সেই কালো হাত, যে হাত দেশের অর্থনীতিকে নিষ্পেষিত করছে, ব্যাংকিং খাতকে লুটেরা গোষ্ঠীর হাতে সঁপে দিয়েছে। ইউনুসের অ-সরকারি শাসনামলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঋণখেলাপির মহোৎসব চলছে। ব্যাংকগুলো আজ সিন্ডিকেটের হাতে। যারা প্রতিবাদ করে, তাদের আইনি নোটিশ, হয়রানি, জেল-জুলুমের মুখোমুখি করা হয়।
এই নোটিশের পেছনের হিসাব খুবই স্পষ্ট—সাংবাদিককে ভয় দেখাতে হবে, গণমাধ্যমকে দমাতে হবে, যাতে ইউনুস ও তার দোসরদের কালো কারবার কেউ প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কতদিন এই চক্রান্ত চলবে? কতদিন মানুষ চোখ বুজে থাকবে? যে সরকারের জন্মই হয়েছিল দুর্নীতির জঠরে, সেই সরকারই তো দুর্নীতির সবচেয়ে বড় আখড়া হবে এটাই তো স্বাভাবিক! ইউনুসের আমলে ব্যাংক লুটপাট, ঘুষ, মেগাপ্রকল্পের খরচ বাড়তি দেখিয়ে দূর্নীতির মহাযজ্ঞ চলছে। আর যারা এগুলো তুলে ধরে, তাদেরই আইনি নোটিশ?
ফয়সাল হোসাইন সনি শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি সেই প্রতিরোধের মুখচ্ছবি, যে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। তার রিপোর্টিংয়ে কোনো গাফিলতি নেই—অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত উভয়ের বক্তব্য নিয়েই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু যখনই ইউনুস গংয়ের কেউ তার নিজের দুর্নীতির খবর বাইরে আসার গন্ধ পায়, তখনই আইনের নামে সত্যের কণ্ঠরোধ করতে এগিয়ে আসে। এটা কোনো বিচার ব্যবস্থা নয়, এটা হলো দুর্বৃত্তায়নের হাতিয়ার।
ইউনুসের অ-সরকার আসলে একটি মাফিয়াচক্র, যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ধ্বংস করেছে। ব্যাংক, প্রশাসন, আদালত—সবই আজ তাদের দখলে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, কোনো স্বৈরাচারই চিরস্থায়ী হয়নি। এই নোটিশ আসলে তাদের ভয়েরই প্রকাশ। তারা জানে, সত্য আর আড়াল করা যাচ্ছে না। তারা টের পাচ্ছে, মানুষের ধৈর্য ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে।
মন্তব্য করুন