নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ রেকর্ড হারে বেড়েছে। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নামে জমা হয়েছে প্রায় ৮,৯৭২ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৩ গুণ বেশি।
২০২৩ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা ছিল ৩৯৬ কোটি টাকা, আর ২০২২ সালে ছিল ৮৭৬ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকদের মতে, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সুইস ব্যাংকে অর্থ জমার প্রবণতা হঠাৎ করে বাড়তে থাকে।
সূত্র জানায়, এই অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম, প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
উপদেষ্টার কার্যালয়ে শতকোটি টাকার দুর্নীতি
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার তদবির বাণিজ্যের অভিযোগে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিক নাজমুস সাকিব প্রকাশিত এক ভিডিওতে জানা যায়, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ বদলির জন্য এক যুগ্ম সচিবের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এছাড়া সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, নিজেরা করল রেকর্ড পাচার?
‘ বিশ্লেষকদের মতে, যদি শেখ হাসিনার আমলে সত্যিই প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে থাকে, তবে তার পেছনে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকার কথা।
সরকারি কাঠামোর ভেতর থেকে বৈধ চুক্তি বা বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হলে তা অর্থ পাচার নয়।
প্রশ্ন হলো, ইউনূস সরকারের আমলে এই বিপুল অর্থ কে বা কারা বিদেশে পাঠাল? কারণ, এই সময় দেশে রিজার্ভ বাড়েনি, বড় কোনো উন্নয়ন প্রকল্পও শুরু হয়নি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারের ওপর মহলেই লুটপাট হয়েছে, যার টাকা পাচার হয়েছে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশে।
মন্তব্য করুন