নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ জুলাই ২০২৫: রাত ১০:৩০টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সঞ্জিত মণ্ডল — পেশায় স্বর্ণকার এবং স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি সাদা প্রাইভেট কার থেকে হঠাৎ করে একদল সন্ত্রাসী নেমে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে বারবার কোপাতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যার ফলে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এই নৃশংস হামলাটি কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় — এটি ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ধারাবাহিক নিপীড়নেরই এক করুণ অধ্যায়। বিগত এক বছরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মন্দির ভাঙচুর, প্রতিমা ধ্বংস, হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া, জমি দখল, নারী-শিশু নির্যাতন, এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই সকল অপরাধের সুনির্দিষ্ট বিচার না হয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্র ‘রাজনৈতিক অনুপ্রেরণায়’ ঘটনা ঘটেছে বলে দায় এড়িয়ে গেছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, বর্তমান সরকার এসব হামলার পেছনে ‘স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব’, ‘ভিন্নমত’ কিংবা ‘গুজব’ দায়ী বলে ব্যাখ্যা দিয়ে মূল অপরাধীদের আড়াল করে চলেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ভুক্তভোগী সংখ্যালঘুদেরই "রাজনৈতিক অপকৌশলের অংশ" হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
এই রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি সন্ত্রাসীদের সাহসী করে তুলেছে। সংখ্যালঘুরা আজ নিজের দেশেই পরবাসীর মতো জীবন যাপন করছে।
মন্তব্য করুন