Insight Desk
প্রকাশ : Oct 29, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

শেখ হাসিনার দৃঢ় বার্তা: “গণতন্ত্র, বৈধ সরকার ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে”

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও মানবতাবিরোধী মামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে এএফপি এবং রয়টার্সকে দেওয়া লিখিত সাক্ষাৎকারে খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছেন। এটি দায়িত্ব ছাড়ার পর তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া, যা দেশি ও বিদেশি মহলে গভীর গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার মূল বার্তা ছিল স্পষ্ট – জনগণের ভোটাধিকার, সাংবিধানিক শাসন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগসহ সব প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।” তাঁর মতে, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের চেষ্টা জাতির ঐক্য ও গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল করে।

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুধু অন্যায্য নয়, এটি আত্মঘাতীও। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত; তাদের কণ্ঠরোধ করা মানে জনগণকে বঞ্চিত করা।”

নির্বাচন ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, “পরবর্তী সরকারের অবশ্যই নির্বাচনি বৈধতা থাকতে হবে। আওয়ামী লীগকে কোটি কোটি মানুষ সমর্থন করে – তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।” তাঁর মতে, গণতন্ত্রের স্থিতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “এসব কার্যক্রম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি এক ধরনের নাটক, যেখানে রায় পূর্বনির্ধারিত। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের যথাযথ সুযোগও দেওয়া হয়নি।” তিনি এসব প্রক্রিয়াকে ন্যায়বিচারবহির্ভূত ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন।

দলে তাঁর বা পরিবারের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “বিষয়টা আমার বা আমার পরিবারের নয়। এটি বাংলাদেশের জনগণের। জনগণই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।”

তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, “আমরা সকলেই যে ভবিষ্যৎ চাই, তা অর্জন করতে হলে বাংলাদেশের সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে হবে।”

দেশে ফেরার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “যখন দেশে বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, সংবিধান সমুন্নত থাকবে এবং প্রকৃত আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত হবে, তখন আমি অবশ্যই ফিরতে চাই।” তিনি দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষই আমার শক্তি ও প্রেরণা। তারা ডাক দিলে আমি ফিরব।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দৃঢ় মনোভাব এবং গণতন্ত্রের প্রতি অটল বিশ্বাসের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর বার্তা স্পষ্ট – বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ, কোনো বিদেশি শক্তি বা রাজনৈতিক নাটক নয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রেস সচিবের মিথ্যাচার এবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মালয়েশ

1

শেষ ধাপে ইউনূসের মিশন, আলোচনায় ‘মাইনাস টু’

2

গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় আমেরিকা

3

তবে কি সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেশ

4

আওয়ামী লীগের ১১৫ এমপি-মন্ত্রীকে জেল হত্যার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!

5

চুক্তির ফাঁদে বেশি দামে কেনা হচ্ছে আমেরিকান গম: ইউনুস সরকারে

6

ডিএমপি কমিশনার ফের প্রমাণ করলেন, জঙ্গিদের মদদেই ক্ষমতায় ইউনূ

7

ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

8

চাঁদপুরে ঢাকাগামী শিক্ষকবাহী লঞ্চ আটকে দিল পুলিশ, আন্দোলন অব

9

পিনাকি-ইলিয়াস ও ইউনূসের নির্দেশে ভিপি নূরের ওপর ভয়াবহ হামলা

10

জনমনে প্রশ্ন সেনাবাহিনী কি এখন এনসিপির পাহারাদার বাহিনী

11

দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা: জামায়াত-শিবিরের প্রত্যক্ষ রাজনীতিত

12

শেখ হাসিনার কথাই সত্যি হলো, নিজেদের দোষ অকপটে স্বীকার করলেন

13

গুপ্ত রাজনীতি করতে গিয়ে ধরা খেল চট্টগ্রামের এসপি

14

তবে কি আরেক পিলখানা হত্যাযজ্ঞ দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

15

গ্যাঁড়াকলে ইউনূস, পলাতে চাইলেও মিলছে না অনুমতি

16

সিলেট জেলে বন্দিদের নির্যাতন ও প্রশাসনিক অমানবিকতা, নেতৃত্ব

17

ইউনূসের নেতৃত্বে হাঁটুভাঙা প্রতিষ্ঠানে পরিণত দুদক

18

এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ হত্যা: জামায়াত-শিবির জড়িত থাকায় এক বছরেও

19

ইউনূসের ভূমিকায় আলোচনায় চট্টগ্রাম বন্দর ও সেন্টমার্টিন

20