নিজস্ব প্রতিবেদক
কখনও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’, আবার কখনও জঙ্গি কার্যক্রম ও আর্থিক দুর্নীতির বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এক আলোচিত নাম—মাহফুজ আলম। একসময় তরুণদের প্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হলেও আজ তার নাম ঘিরে তৈরি হয়েছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় পাওয়া মাহফুজ আলমের হিজবুত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, সেভেন সিস্টার্স অর্থাৎ ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে দখল করার বার্তা দিয়ে এক পোস্ট দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মাহফুজের আপন বড় ভাই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করেন এবং পড়ালেখার পাশাপাশি পার্টটাইম ট্যাক্সি চালান। অথচ গত ৯ মাস ধরে একটি আন্তর্জাতিক বেনিয়া গোষ্ঠী থেকে মাহফুজের ‘কমিশনভিত্তিক হিস্যা’র অর্থ ওই ভাইয়ের নামে থাকা Commonwealth Bank of Australia-এর একটি একাউন্টে জমা হচ্ছিল।
মিডল ইস্ট থেকে গত ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে একটি সাড়ে ছয় কোটি টাকার লেনদেন AUSTRAC-এর নজরে আসে। অস্বাভাবিক এই আর্থিক কার্যক্রমের পর ব্যাংক একাউন্টটি অবরুদ্ধ করে দেয় সংস্থাটি, এবং তদন্তে নামে। ধারণা করা হচ্ছে, অর্থটি জন্মদেশে একটি প্রভাবশালী প্রজেক্টের ফাইল তদবির ও লবিংয়ের বিনিময়ে পাওয়া ‘কমিশন’।
এই ঘটনায় অনেকে মাহফুজের নাম যুক্ত করছেন আগের বিতর্কিত সমন্বয়ক রিয়াদ এবং হাতিয়ার হান্নান মাসুদের সাথে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নিছক কয়েকজন ব্যক্তির ব্যতিক্রম নয়, বরং এটি বৃহত্তর দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।
নোয়াখালীসহ সারাদেশের সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠছে—এত গুরুতর অভিযোগ থাকলেও কেন জাতীয় পর্যায়ে দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠোর নজরদারির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না?
জনমনে দাবি উঠছে, শুধু ব্যক্তি নয়, বরং প্রতিটি সমন্বয়ক এবং তাদের প্রথম ডিগ্রির আত্মীয়স্বজন—পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ি—সবার ব্যাংক একাউন্ট, সম্পদ বিবরণী এবং আর্থিক লেনদেন রাষ্ট্রীয় পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হোক।
মন্তব্য করুন