এম, কে শাওন
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দাবি করেছেন, দেশে নাকি মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা বিদ্যমান। তিনি সাংবাদিক ও নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন “মন খুলে সমালোচনা” করার জন্য। কিন্তু বাস্তবতা? সম্পূর্ণ বিপরীত।
লালমনিরহাটের সাবেক সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি শুধু ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করায় তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা যিনি রাষ্ট্রের একজন সেবক, শুধুমাত্র মতপ্রকাশের জন্য তাঁকে অপমানজনকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এটাই কি সেই ‘বাকস্বাধীনতা’?
আজ দেশে গঠনমূলক সমালোচনা করলেই সাংবাদিকদের চাকরি যায়, মিডিয়া হাউস বন্ধ করে দেওয়া হয়, টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়। সত্য তুলে ধরার চেষ্টা মানেই শাস্তি। অথচ একই সময়ে, ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, বদলি বানিজ্য, শেয়ারবাজার লুটসহ নানা দুর্নীতির মধ্যে নিমজ্জিত। এসব বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হলে, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া হয়, রিপোর্ট প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। এক ধরনের অদৃশ্য সেন্সরশিপ চলছে—যার নির্দেশ আসে শীর্ষ মহল থেকে।
ড. ইউনূস মুখে বলছেন স্বাধীনতার কথা, কিন্তু হাতে ধরে রেখেছেন দমন-পীড়নের ছুরি। জনগণের সামনে এক মুখোশধারী প্রতিচ্ছবি, আর ভিতরে এক চেপে ধরা স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থা। আজ জনগণ সব বুঝে ফেলেছে। তাদের চোখে মুখোশ আর ধোঁয়া নেই—সব দুর্নীতি, সব ষড়যন্ত্র উন্মোচিত।
এটাই সময়—প্রতিটি নাগরিককে জেগে উঠতে হবে, সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে, আর প্রতারকদের মুখোশ টেনে খুলে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন