নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের তথ্য বারবার তথাকথিত জুলাই যোদ্ধাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হচ্ছে। মানুষ হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ক্ষমতা দখলই ছিল এর মূল লক্ষ্য। সেই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা, থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর উত্তরায় হেলমেট না পরায় এক মোটরসাইকেল চালককে সিগন্যাল দেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। এ সময় পুলিশ সার্জেন্টকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন মোটরসাইকেল চালক ও তার আরোহী। এ ঘটনায় দুজনকে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের উত্তরা পূর্ব জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মাহবুবুর রহমান বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার বিএনএস সেন্টার এলাকায় সকাল ৯টার দিকে যানজট নিরসনের দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী। তিনি একটি মোটরসাইকেলকে হেলমেট না পরায় সিগন্যাল দেন এবং আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেন।
এ সময় মোটরসাইকেল চালক সাদিকুর রহমান ও আরোহী মো. আব্দুর রহিম সার্জেন্ট আলীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন। তারা বলেন, “৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি। এবার দেখছি আবার আপনাদেরকে মেরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।”
এসি মাহবুবুর রহমান জানান, সার্জেন্ট আলী বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার একটি টহল টিম তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে চালক ও আরোহীকে ডিএমপির বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত চালক সাদিকুর রহমানকে এক মাসের জেল এবং আরোহী আব্দুর রহিমকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়া এলাকার মো. মফিজুল্লাহর ছেলে সাদিকুর রহমান এবং মফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম।
মন্তব্য করুন