নিজস্ব প্রতিবেদক
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিরোধী মত দমন ও রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম সীমিত করার অভিযোগ উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি বাধা ও দমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
জাতীয় পার্টির অভিযোগ, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৪টার দিকে তারা কাকরাইল কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিলে হঠাৎ করেই পুলিশ সমাবেশে হামলা চালায় এবং চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়।
তবে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম দাবি করেছেন, “জাতীয় পার্টিকে কিছুই করা হয়নি, শুধু একটু দৌড়ানি দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি একটি আবেদন করেছিল, কিন্তু আমরা রাস্তায় কোনো কর্মসূচির অনুমতি দিইনি। মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যেন তারা রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু তারা রাস্তায় চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ তৈরি করে। আমরা কয়েকবার সতর্ক করলেও তারা শোনেনি, ফলে জনভোগান্তি রোধে সামান্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” ডিসি মাসুদ আরও দাবি করেন, এলাকায় স্থানীয় লোকজন এসে বাধা দিলে পুলিশই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের রক্ষা করেছে।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ফটক বন্ধ, কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছে। সমাবেশের জন্য আনা চেয়ার-টেবিল সরিয়ে নিচ্ছেন ডেকোরেশন কর্মীরা। কিছুক্ষণ পর দলটির একটি মিছিল বিজয়নগর থেকে পল্টনের দিকে যাত্রা শুরু করলে অপরদিক থেকে অজ্ঞাত একদল লোক তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে একজন কর্মী আহত হন।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রশাসনের সহযোগিতায় বারবার দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের চেষ্টা চলছে। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ও ৩০ আগস্ট কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে।
দলটির নেতারা বলেন, “এভাবে দমন-নির্যাতনের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বন্ধ করা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসঙ্কেত।”
মন্তব্য করুন