Insight Desk
প্রকাশ : Oct 7, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

অবৈধ ক্ষমতার খেলায় মাতৃভূমি দারিদ্র্যের দেশে পরিণত ইউনুসের নীরবতা, জনগণের চিৎকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। গ্রাম থেকে শহর—সবখানেই এক করুণ দৃশ্য। ক্ষুধা মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। একসময়ের প্রাণচঞ্চল বাজারগুলো এখন নিস্তব্ধ, দোকানে ক্রেতা নেই, ব্যবসায়ীরা হতাশ, শ্রমিকেরা বেকার। কোটি কোটি পরিবার একবেলা খেয়ে, আরেক বেলা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। অথচ সরকারের মনোযোগ কেবল ক্ষমতার আসন আঁকড়ে ধরার কৌশলে সীমাবদ্ধ।

দেশের মৌলিক চাহিদা—ভাত, কাপড়, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা আজ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, উৎপাদন হ্রাস এবং কর্মসংস্থানের অভাব পুরো সমাজকে অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্ম হতাশ, মধ্যবিত্ত নিঃস্ব, শ্রমজীবীরা অনাহারে। এমন পরিস্থিতিতেও সরকারের নীতিনির্ধারকরা যেন ব্যস্ত কেবল ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার খেলায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি একসময় নিজেকে “শান্তির দূত” ও নোবেলজয়ী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন, আজ তার নেতৃত্বে চলছে দমন-পীড়নের রাজনীতি। পাহাড়ে নিরীহ জনগণের উপর গুলি, ঘরবাড়ি জ্বালানো ও লুটপাট—এসব ভয়াবহ ঘটনার প্রতি তার নীরবতা প্রমাণ করছে, তিনি জনগণের নয়, বরং বিদেশি শক্তির নির্দেশে পরিচালিত। বিদেশি স্বার্থ রক্ষায় গোপন চুক্তি, মুচলেকা ও কূটনৈতিক সমঝোতার খবর এখন প্রকাশ্য গোপন।

সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুদের কান্না, বৃদ্ধদের আহাজারি—সবই দেখছে জাতি। অথচ প্রশাসন নিশ্চুপ, সরকার নির্বিকার। এই নীরবতাই যেন ক্ষুধার মতোই ভয়াবহ। ইতিহাস বলে, ক্ষুধার্ত মানুষের নীরবতা একদিন বিস্ফোরণে পরিণত হয়।

অর্থনীতি আজ দিকভ্রান্ত। উৎপাদন কমেছে, ব্যবসা থমকে গেছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ইউনুস প্রশাসনের ভুল নীতি ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা দেশের মানুষকে আরও নিঃস্ব করছে। এটি কোনো সাধারণ সংকট নয়—এটি রাষ্ট্রীয় অবহেলার নির্মম প্রতিচ্ছবি।

রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব হলো জনগণের জীবন ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু যারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশি প্রেসক্রিপশন মেনে চলে, তারা ইতিহাসে কখনো টিকে থাকতে পারেনি। আজ বাংলাদেশের মানুষ সেই শিক্ষাই আবার প্রত্যক্ষ করছে।

রাজনীতি আজ পরিণত হয়েছে অলীক ক্ষমতার খেলায়। মানুষের মুখে ভাত না থাকলে ক্ষমতার আসনে বসে থাকা যায় না—এ সত্য এখন আরও স্পষ্ট। পাহাড়ে নিরীহ জনগণের ওপর হামলা, শহরে দারিদ্র্যের ছায়া, বাজারে দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম—সবই প্রমাণ করে, এই সরকার জনগণের জন্য নয়, ক্ষমতার জন্য পরিচালিত।

অবিলম্বে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাহাড়ি অঞ্চলের নির্যাতিত জনগণের জন্য স্বচ্ছ তদন্ত, ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীকে জনগণের রক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, আতঙ্কের প্রতীক নয়।

জনগণ এখনো নীরব, কিন্তু এই নীরবতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষুধা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষের কণ্ঠই একদিন হবে সর্বশক্তিমান প্রতিরোধ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—যখন জনগণ জেগে ওঠে, কোনো স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারে না।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউনূসের ভূমিকায় আলোচনায় চট্টগ্রাম বন্দর ও সেন্টমার্টিন

1

জনমনে প্রশ্ন সেনাবাহিনী কি এখন এনসিপির পাহারাদার বাহিনী

2

দেশজুড়ে বাড়ছে হত্যা-ধর্ষণ, আতঙ্কিত মানুষ

3

রবিবার রেমিট্যান্স শাট ডাউন পালনের আহ্বান শেখ হাসিনা সংগ্রাম

4

জাতিসংঘের নগ্ন হস্তক্ষেপে বিপন্ন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব

5

কণ্ঠরোধ করে ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠা করছেন ইউনূস

6

ভোট না দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন ইউনূস, নতুন অস্ত্র পিআর পদ্ধতিত

7

সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে গুজব নিয়ে হাজির প্রেস সচিব

8

জুলাই সনদে সই করবে না গণফোরাম ও বামপন্থি চার দল

9

নাহিদের জবানবন্দিতে রাষ্ট্রীয় নথিতে রেকর্ড হলো ইউনূসের মিথ্য

10

অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের খবর সঠিক নয় : জাতীয় বিশ্ববি

11

মুদি দোকানে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ১৩ লাখ টাকা!

12

৯ মাসে পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা

13

অপকর্ম আড়ালেই ভরসা “গুজব যন্ত্রে”: সক্রিয় ইউনূস গোষ্ঠী

14

জঙ্গিদের বাঁচাতে গোপালগঞ্জে নিরস্ত্র জনতার ওপর সেনাবাহিনীর গ

15

কঠিন মুহুর্তে আবারও বাংলাদেশের পাশে ভারত

16

বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির চাঁদার টাকা যাচ্ছে কোথায়, ভাগ পায় কার

17

শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারকে টার্গেট করে রাজনৈতিক সার্কাস দেখা

18

মব উস্কে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের চেষ্টায় ইউনূস গং

19

তবে কি সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেশ

20