নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটায় ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে আলোচিত শিবিরপন্থি নেতা এস এম সালমান সাব্বির এবার রাকসু নির্বাচনে সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হয়েছেন।
গুপ্ত সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সালমান সাব্বির। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, এজিএস পদে সাব্বির পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭১ ভোট, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট। ব্যবধান — ১ হাজার ৩০ ভোট।
অভিযোগ অনুযায়ী, সালমান সাব্বির ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেও পোষ্য কোটার সুবিধা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষে তিনি ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ৩২.৫ নম্বর পান, যেখানে পাস নম্বর ছিল ৪০। তা সত্ত্বেও তিনি কোটা সুবিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সক্ষম হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাব্বির বর্তমানে পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত। তবে তার পোষ্য কোটার দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে তার বাবা-মা কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, নিয়মিতভাবে গুপ্ত সংগঠন শিবিরের কর্মকাণ্ডে যুক্ত সাব্বির পূর্বে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। অথচ নিজেই সেই পোষ্য কোটার সুবিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এ তথ্য সামনে আসায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাকসু নির্বাচনে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতে জয় লাভ করেছে।
সালমান সাব্বির সাংবাদিকদের বলেন, “আগামীকাল রাকসু নির্বাচন, তাই এখনই মন্তব্য করতে চাই না। পরে বিস্তারিত বলব।”
বিশ্লেষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, যিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনিই যদি জালিয়াতির মাধ্যমে কোটা ব্যবহার করে ভর্তি হন, তবে এটি দ্বিচারিতা ছাড়া আর কী
মন্তব্য করুন