রংপুরের পীরগঞ্জ-রংপুর আসনে নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক প্রতীক বরাদ্দের আগেই ‘শাপলা’ প্রতীকে পোস্টার সাঁটিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র মনোনয়নপ্রত্যাশী তাকিয়া জাহান চৌধুরী।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ মহলের সমর্থনে গঠিত এই দলটি ইতোমধ্যে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও বিভিন্ন অপকর্মে প্রভাব বিস্তার করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে টানাপোড়েন চললেও তাকিয়া জাহান সরকারি আশীর্বাদে আগেভাগেই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তার ছবি ও ‘শাপলা প্রতীক’-সংবলিত অসংখ্য পোস্টার এখন দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪-রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী (শাপলা মার্কা) তাকিয়া জাহান চৌধুরী আপনাদের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।”
তাকিয়া জাহান দাবি করেছেন, “পোস্টারগুলো আগেই ছাপানো হয়েছিল, ভুলক্রমে লাগানো হয়েছে।” কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, এটি সরকারের নীরব সহায়তায় এনসিপির ক্ষমতা প্রদর্শনেরই অংশ।
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাকিয়া জাহান দলীয় পদে না থাকলেও নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন এবং মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন। দলের যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, “মানুষ এখন এনসিপি মানেই ‘শাপলা প্রতীক’ মনে করে। আমরা চাইলে সবাইকে থামাতে পারি না।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অমান্য করে এভাবে পোস্টারিং চালানো সম্ভব নয়।তাদের মতে, এনসিপির এই বেপরোয়া কর্মকাণ্ড সরকারের মদদপুষ্ট রাজনীতিরই স্পষ্ট উদাহরণ।
মন্তব্য করুন