নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি-কে সোমবার দুপুরে নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।স্থানীয়রা ঘটনাটিকে পূর্বপরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন।
নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, তিনি গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় একটি উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর হুমকির মুখে ছিলেন। তবুও তিনি নিজ দলীয় কর্মকাণ্ড ও দলীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। তাদের ভাষায়, “তিনি ভয় পাননি, কিন্তু ভয়ঙ্কর বাস্তবতা তার জীবন কেড়ে নিল।”
সোমবার দুপুরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ তার বাড়িতে ঢুকে তাকে টেনে বাইরে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর বাড়ির পাশের গলিতে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা বেড়েছে।
তাদের মতে, স্থানীয় প্রশাসনের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে উগ্র গোষ্ঠীগুলো আবারও সক্রিয় হচ্ছে, যা জনমনে ভয় ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
একজন স্থানীয় প্রবীণ আওয়ামী নেতা বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী চক্রগুলো মাঠে নেমেছে। তারা ভয় দেখিয়ে রাজনীতি বন্ধ করতে চায়, কিন্তু আমরা ন্যায়ের পথে লড়াই চালিয়ে যাব।”
এদিকে স্থানীয় জনগণ দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের ভাষায়, এটি শুধু একটি হত্যা নয় — এটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য চলমান সংহিসতার একটি খন্ডচিত্র।
পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে, এবং প্রাথমিকভাবে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পুলিশের ভুমিকা নিয়েও জনমনে সন্দেহ বিরাজ করছে।
সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন— “রাজনীতি করতে গিয়ে আর কত প্রাণ ঝরবে?”
মন্তব্য করুন