স্টাফ রিপোর্টার
আফগানিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতের বিতর্কিত নেতা মাওলানা মামুনুল হক। জানা গেছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি এনজিওর সহায়তায় তিনি সঙ্গীসহ আফগানিস্তান ভ্রমণ করেছেন। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে—এই সফর কোনোভাবেই নিছক সৌজন্য ভ্রমণ নয়; বরং বাংলাদেশে তালেবানি ধাঁচের রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে কিভাবে একই ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়—সে দিকনির্দেশনাই খুঁজে ফিরছেন মামুনুল হক। আফগান মডেল মানেই নারীকে গৃহবন্দি করা, শিক্ষা-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা, গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা এবং ভিন্নমত দমন করা। এই ধারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো—ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকারের নীরব সমর্থন ও ছত্রচ্ছায়ায় এই কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মৌলবাদী শক্তি নতুন করে সক্রিয় হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করিয়ে দেন, যারা আজ তালেবানি শাসনের স্বপ্ন দেখছে, তারাই একসময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সেই শক্তি আজ নতুন ছদ্মবেশে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে। মামুনুল হকের আফগান সফর তারই প্রমাণ বহন করছে।
এখন প্রশ্ন—বাংলাদেশের মানুষ কি আবার অন্ধকারে ফিরতে রাজি হবে? উত্তর স্পষ্ট—না। তাই আজই দরকার সজাগতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষকে রাজপথে দাঁড়িয়ে জানাতে হবে—বাংলাদেশে তালেবানি শাসনের কোনো স্থান নেই, থাকতে দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন