নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকারের ফ্যাসিবাদী দমননীতি, গ্রেপ্তার অভিযান ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটি বলেছে- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী, এমনকি সাধারণ নাগরিকদের ওপর চালানো প্রতিটি জুলুম, বাড়িঘর ভাঙচুর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার বিচার ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে এবং সেই হিসাব একদিন কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নেওয়া হবে।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে ছাত্রলীগ জানায়, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে পদদলিত করে ক্ষমতা দখলকারী এই তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে। তারা শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নয়, সাধারণ জনগণের উপরও চালাচ্ছে নির্মম দমন-পীড়ন ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন।
বিবৃতিতে ছাত্রলীগ আরও অভিযোগ করে, দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং ভেসে যাচ্ছে গ্রেপ্তার, লাঠিচার্জ ও গুলির ঝড়ে। “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ার অপরাধে শত শত তরুণকে আটক করা হয়েছে। ঘরবাড়ি পোড়ানো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য তৈরি করা হয়েছে- যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের আত্মায় আঘাত হেনেছে।
ছাত্রলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতার প্রতীক এই সংগঠন দেশের পতাকা, জাতীয় সংগীত ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতের মতো এবারও রাষ্ট্র যখন গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখন ছাত্রলীগই হবে গণআন্দোলনের অগ্রসৈনিক।
সংগঠনটি স্পষ্ট বার্তা দেয়- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। “যে রক্ত ঝরেছে, যে ঘর পুড়েছে, যে চোখে অশ্রু এসেছে- সব কিছুর হিসাব নেওয়া হবে। এই জাতি আর কোনো অবৈধ শাসনের কাছে মাথা নোয়াবে না,”- বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
শেষে ছাত্রলীগ ঘোষণা করে: “গণতন্ত্র, ন্যায় ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই। প্রতিটি জুলুমের প্রতিশোধ জনগণের আদালতেই নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন