বিশেষ প্রতিবেদন
যেকোনো সময় শুরু হতে যাচ্ছে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট–টু’। তবে এবার কোনো কোডনেম বা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে না। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত ইউনুসের বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর বাসভবনে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব।
বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন গণভোট ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলন দমন–সংক্রান্ত কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপি যাতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করে ইউনুস প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর ধাঁচে একটি যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ইউনুস গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে, বিএনপি আর ইউনুসের আশ্বাস বা রাজনৈতিক চালবাজিতে ভরসা করতে রাজি নয়। বরং তারা রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আদায় করে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি অনুধাবন করে ইউনুস প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়—৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা হবে।
এই আশংকা বিএনপি অনেকদিন থেকেই করে আসছিলো। এইজন্য বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা যখন অভিযোগ করে বলতো পুলিশ-প্রশাসন তো ইউনুসের তাহলে তারা বিএনপির সাথে যুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করছে না কেন! ইউনুস প্রশাসন তখন নিশ্চুপ থাকলেও এখন বিএনপি যখন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছে, ইউনুস প্রশাসন এটাকেই গ্রেপ্তার অভিযানের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। এর লক্ষ্য বিএনপিকে নিউট্রিলাইজ করে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে তথাকথিত গণভোটের মাধ্যমে ইউনুসকে ক্ষমতায় রাখা।
এই অভিযানের নেতৃত্বে থাকবে যৌথবাহিনী। তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জামাতি উইংয়ের প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসানের ঘনিষ্ঠ এবং পাকিস্তানের আইএসআই-লিংকড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামানকে প্রমোশান দেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে যৌথবাহিনীর প্রয়োজন অনুযায়ী সেনা মোতায়েন ও সমন্বয়ের দায়িত্বও তার ওপর অর্পিত হয়েছে।
অভিযান শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বিএনপির সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনাতেই—যা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া আজ চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির এক নেতার বাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিএনপির এই নেতা হচ্ছে ঐ এলাকার বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং অস্ত্র ব্যবসায়ী।
মন্তব্য করুন