নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কার্যলয়ে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি অনুযায়ী, হামলাটির নেতৃত্ব দেন যুবক সাজ্জাদ শেখ। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন লস্করে তৈয়বার বাংলাদেশ শাখার প্রধান হিসেবে পরিচিত হারুন ইজহারের সরাসরি নির্দেশে এই হামলা সংঘটিত হয়।
সূত্রগুলো দাবি করছে, সাজ্জাদ শেখের সঙ্গে হারুন ইজহারের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরেই তারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘনিষ্ঠতাই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ঘটনার পর পুলিশ সাজ্জাদ শেখকে গ্রেফতার করলেও কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, পরিচিত জঙ্গি নেতা হারুন ইজহার বর্তমান ইউনুস সরকারের প্রভাব ও মদদে সাজ্জাদ শেখকে ছাড়িয়ে আনেন।
বিরোধী দল ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশে উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও জঙ্গি তৎপরতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। তাদের অভিযোগ, সরকারের দুর্বল অবস্থান ও কথিত প্রশ্রয়ের সুযোগে জঙ্গিরা আবার সংগঠিত হচ্ছে এবং প্রকাশ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলার মতো ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের কূটনৈতিক সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ দমনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি আরও বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
মন্তব্য করুন