নিজস্ব প্রতিবেদক
পাহাড়ে পুনরায় অশান্তির আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অবৈধ অস্ত্র রাখার মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক মাইকেল চাকমাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটির বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাওহিদুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় ইউপিডিএফের আরেক নেতা সুমন চাকমাকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে, তবে তৃতীয় আসামি প্রদীপ চাকমাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ভাইবোনছড়া এলাকায় চাঁদাবাজি, মারধর ও খুনের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় মাইকেল চাকমাকে একটি দেশি অস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ আটক করে পুলিশ। পরদিন লংগদু থানার এএসআই মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রায় ১৭ বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাইকেল চাকমা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছিলেন। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাকে সাদা পোশাকধারী কিছু ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে “আয়নাঘর” নাটকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘটনাটি বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করে, এমন অভিযোগও রয়েছে।
প্রায় পাঁচ বছর তিন মাস পর, ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট তিনি মুক্তি পান। কিন্তু মুক্তির পর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে নতুন করে সংঘাত ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, মাইকেল চাকমার পুনরায় সক্রিয় হওয়া পাহাড়ের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য বড় হুমকি হতে পারে।
মন্তব্য করুন