নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
বগুড়ায় বিতর্কিত অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্যের পৈতৃক বাড়িতে ৪ নভেম্বর গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুইজন মুখোশধারী ব্যক্তি এসে বাড়ির সামনে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পিনাকীর বৃদ্ধা মা।
বর্তমানে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা পিনাকী ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার অভিযোগে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তিনি বিদেশে বসে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক বিভাজন ও সহিংসতার অন্যতম উৎসে পরিণত হয়েছেন।
অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর পিনাকী তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস ও ভিডিও বার্তায় বিএনপিকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আমার বাসায় বগুড়া শহরে আগুন লাগানোর দু:সাহস কার হতে পারে? আওয়ামী লীগ এই দু:সাহস করে নাই। বাসায় আমার বৃদ্ধা মা থাকেন, এই পিশাচদের সেই বোধটাও নাই। এরা করতে আসছে রাজনীতি।”
স্থানীয় পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পিনাকীর মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের অব্যাহত উস্কানিমূলক কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে এ ধরনের অগ্নিসংযোগ বা সহিংস ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে। তারা মনে করেন, বিদেশে অবস্থান করে দেশবিরোধী বক্তব্য ও সামাজিক বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টা দেশের ভেতরে চরম উত্তেজনা তৈরি করছে, যার প্রতিক্রিয়া মাঠ পর্যায়েও দেখা যাচ্ছে।
একজন স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মন্তব্য করেন, “যে ব্যক্তি বছরের পর বছর ধরে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তার কর্মকাণ্ডে উত্তেজিত কিছু পক্ষ প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ করতে পারে—এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
বিশ্লেষকরা আরও বলেন, “এই ধরনের প্ররোচনামূলক রাজনীতি সামাজিক সম্প্রীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ভয়াবহ হুমকি। পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিদের অপপ্রচার নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহল উভয়েরই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
মন্তব্য করুন