নিজস্ব প্রতিবেদক
সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠন অভিযোগ করেছে, ইসকনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও জঙ্গি তকমা লাগানো হচ্ছে। তারা বলেছে, এই অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিতাড়ন, সামাজিক ও ধর্মীয় হেনস্থা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর স্বামীবাগে ইসকন বাংলাদেশের আশ্রমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইসকনের সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ বলেন, “ইসকন অরাজনৈতিক, অলাভজনক এবং মানবকল্যাণমুখী সংস্থা। আমরা যুগ যুগ ধরে শান্তি, অহিংসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে আসছি। আমাদের বিরুদ্ধে ছড়ানো সব অভিযোগ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। দেয়াললিখন, প্রচারপত্র বিতরণ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তায় বিক্ষোভ-মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে ইসকন ভক্তসহ হিন্দুদের হত্যার এবং মন্দির ধ্বংসের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে:
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।
সব মন্দির, মঠ, আশ্রম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও উসকানিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধে কঠোর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের সহসভাপতি ভক্তি বিনয় স্বামী মহারাজ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সভাপতি হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন সরকার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, গুলশান বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি জে এল ভৌমিক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মনীন্দ্র কুমার নাথ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু।
মন্তব্য করুন