নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদারীপুর জেলা কারাগারে হাজতি অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী মিয়ার মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তার স্বাস্থ্যের অবনতি এবং পরবর্তী মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারাগার কর্তৃপক্ষের তৎপরতা ও চিকিৎসা সুবিধার মান নিয়ে।
সোমবার (২৮ জুলাই) ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রাজৈরের টেকেরহাট আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি রাজৈর উপজেলার বৌলগ্রাম এলাকায়।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর রাজৈর থানায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ইউসুফ আলী মিয়াকে ৬৪ নম্বর আসামি করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের পাঠানকান্দি গ্রামের শাহ আলম শেখ ওরফে কোব্বাস শেখ। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও মাদারীপুর আদালতে হাজিরা দিলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। গত ৩০ এপ্রিল থেকে তিনি মাদারীপুর জেলা কারাগারে হাজতি হিসেবে বন্দি ছিলেন।
কারাগারে থাকাকালীন কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর রোববার তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মাদারীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার শাহ্ রফিকুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে ইউসুফ আলী মিয়াসহ দুইজন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দ্রুত মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ইউসুফ আলী মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি মারা যান।
ইউসুফ আলী মিয়ার পরিবার এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করেছে। তারা দাবি করছে, কারাগারে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি এবং তার মৃত্যুর জন্য কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি দায়ী। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।