বিশেষ প্রতিবেদন
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার্তাসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউনূস সরকারের নীতিগত অবস্থান ও বক্তব্যই দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
শেখ হাসিনার অভিযোগ, ইউনূস সরকার ভারতের বিরুদ্ধে শত্রুতাপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার ভাষায়, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যে খারাপ হয়েছে, তার পুরো দায় ইউনূসের। কট্টরপন্থিদের কথায় পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে, অথচ উত্তেজনা বাড়লে সরকার বিস্ময় প্রকাশ করছে।”
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে এবং বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দুই দেশের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হবে। তিনি দাবি করেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই নীতিই অনুসরণ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার দায় কট্টরপন্থি শক্তির ওপর চাপিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এসব গোষ্ঠী ভারতীয় দূতাবাসে মিছিল করেছে, সংবাদপত্রের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে। তার অভিযোগ, ইউনূস সরকার এসব গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দিয়েছে এবং শাস্তিপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি দিয়েছে।
ওসমান হাদির মৃত্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলাই এ ঘটনার জন্য দায়ী। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সহিংসতা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে—সরকার হয় বিষয়টি অস্বীকার করছে, নয়তো তা নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা হারিয়েছে।
শেখ হাসিনার মতে, এসব ঘটনা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে অস্থির করে তুলছে এবং সীমান্তে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রেই ঘটছে।
মন্তব্য করুন