নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অনির্বাচিতভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসনে দেশের অর্থনীতি ক্রমেই স্থবির হয়ে পড়েছে। শিল্পাঞ্চলগুলোতে বন্ধ হচ্ছে কারখানা, কর্মহীন হয়ে পড়ছে হাজারো শ্রমিক। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের কারখানা এলাকায় প্রতিদিনই দেখা যায় বেকার শ্রমিকদের হাতে শুধু পুরনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, কিন্তু কাজে ফেরার কোনো আশা নেই। কেউ মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছে না, কেউ বাধ্য হয়ে রিকশা চালাচ্ছে বা ফুটপাতে বসে পণ্য বিক্রি করছে।
শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মও হতাশ ডিগ্রি থাকলেও চাকরি নেই। দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৯ শতাংশে, আর চরম দারিদ্র্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৯.৩ শতাংশে পৌঁছেছে। শহরের মধ্যবিত্ত ঘরেও অনিশ্চয়তার ছায়া নেমে এসেছে। ঋণের বোঝা, সম্পদ বিক্রি, সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়া সব মিলিয়ে এক গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশ আজ দিশেহারা।
অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের প্রচারিত “সংস্কার” ও “রূপান্তর” এখন কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে জনগণের জন্য নেই কোনো ত্রাণনীতি বা সহায়তা। বরং ক্ষুদ্রঋণের নামে নতুন ফাঁদ তৈরি হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ দিয়ে গরিব মানুষের ঘাড়ে আরও ঋণের বোঝা চাপানো হচ্ছে। সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে অনেকে হারাচ্ছে সামান্য সম্পদ, আবার কেউ কেউ ভিটেমাটি বিক্রি করেও মুক্তি পাচ্ছে না।
নতুন কর্মসংস্থান না বাড়িয়ে এভাবে ঋণের বোঝা বাড়ানো দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আরও বিপদগ্রস্ত করে তুলছে। আর এই সময়েও প্রশাসনের নির্বিকার নীরবতা জনগণের কাছে নৈরাজ্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ এর পরিশ্রমী মানুষ আজ অবহেলিত, প্রতারিত ও পরিত্যক্ত। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পরিণত হয়েছে কেবল বেঁচে থাকার সংগ্রামে।
মন্তব্য করুন