নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমপোর্ট ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে কোটি কোটি টাকার আমদানি পণ্য। দুপুরের পরপরই বিমানবন্দরের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে ছিল খাদ্যপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ এবং শিল্পের কাঁচামালসহ আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য।
ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে আগুনের উৎস ও বিস্তারের ধরন দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। আগুন লাগার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা এবং নিরাপত্তা কর্মীদের অস্বাভাবিক আচরণ পুরো ঘটনাকে সন্দেহজনক করে তুলেছে।
ধারাবাহিক আগুনে জ্বলছে দেশ
গত কয়েক সপ্তাহে মিরপুর, চট্টগ্রাম ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ, আর এখন শাহজালাল বিমানবন্দর সব জায়গাতেই একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি স্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করলে দেখা যায়, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং রাষ্ট্রবিরোধী একটি সুসংগঠিত ষড়যন্ত্রের অংশ। এই আগুনের পেছনে কাজ করছে ইউনুস সরকারের মদদপুষ্ট একটি চক্র যাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনিক কাঠামোকে পঙ্গু করে দেওয়া। গুরুত্বপূর্ণ গুদাম, শিল্পাঞ্চল ও বিমানবন্দর টার্মিনালে আগুন লাগিয়ে তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, যাতে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি ঘটে এবং জনগণের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
ইউনুস সরকারের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো একটির পর একটি বড় দুর্ঘটনার পরও ইউনুস সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব। প্রশাসনিক তৎপরতা অনুপস্থিত, তদন্তে গড়িমসি, আর মিডিয়ার একটি অংশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়াতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনুস সরকার দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় যাতে জনগণ সরকারের ওপর আস্থা হারায় এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। এই নীরবতা ও উদাসীনতা আসলে কি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি অপ্রকাশ্য সমর্থন নয়?
অর্থনীতিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে
ইমপোর্ট ভিলেজে আগুন মানে দেশের আমদানি খাতের ওপর সরাসরি আঘাত। খাদ্য, ওষুধ, পোশাকশিল্পের কাঁচামাল সবই এখন ঝুঁকির মুখে। এতে কেবল সরবরাহব্যবস্থা নয়, পুরো অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। বাজারে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে কৃত্রিম মূল্যস্ফীতি ঘটানোর লক্ষ্য স্পষ্ট ।
অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, এটি এক ধরণের অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ যার মাধ্যমে দেশকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধই একমাত্র পথ
আজ প্রয়োজন রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে একসাথে দাঁড়ানো। আগুনের এই রাজনীতি, এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ না করলে জাতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এই আগুন কেবল গুদাম পুড়ায় না, এটি জাতির ভবিষ্যৎ ও স্বপ্নকে পুড়িয়ে দিতে চায়,” একজন বিশ্লেষকের এমন মন্তব্যে স্পষ্ট, আমরা এক গভীর ষড়যন্ত্রের মুখে দাঁড়িয়ে আছি।
বাংলাদেশের মানুষ অতীতে ষড়যন্ত্রের আগুনে পোড়েও মাথা নত করেনি। এবারও করবে না। দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই বলতে হয় এসো, একসাথে রুখে দাঁড়াই এই অপশক্তির বিরুদ্ধে।
মন্তব্য করুন