নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশজুড়ে চলমান শিক্ষক আন্দোলন যখন জনগণের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে, তখনই পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শুরু করেছে অবৈধ ইউনুস সরকার। চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড) এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় রহস্যজনকভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুনটি পরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে যাতে শিক্ষক আন্দোলনের ন্যায্য দাবি থেকে জনগণের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া যায়।
স্থানীয় শ্রমিকরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার আগে হঠাৎ করেই কিছু অচেনা লোক কারখানার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তাদের আচরণ সন্দেহজনক ছিল। এরপর মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা নয় বরং এটি সরকারের এক নোংরা রাজনৈতিক চাল। শিক্ষক আন্দোলনের ন্যায়সংগত দাবির মুখে পড়ে ইউনুস সরকার এখন মরিয়া হয় বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে। আগুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকার আবারও “অরাজকতা রোধের” নামে দমন পীড়নের নতুন অজুহাত তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশজুড়ে ভয়, আতঙ্ক ও দমননীতির রাজত্ব কায়েম করেছে ইউনুস প্রশাসন। শিক্ষক, ছাত্র, শ্রমিক সবাই আজ তার শাসনের অন্যায়ের শিকার। এখন আবার আন্দোলনকে দুর্বল করতে তারা “অগ্নিসংযোগ নাটক” সাজিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ও অন্যায় ঢাকার চেষ্টা করছে।
সাধারন জনগণ বলছে, ইউনুস সরকারের পতন অনিবার্য। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক, দেশের শিক্ষক ও শ্রমজীবী মানুষদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করা যাবে না। আগুন দিয়ে সত্যকে পুড়িয়ে ফেলা যায় না বরং এতে সরকারের মুখোশ আরও উন্মোচিত হয়।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের আগুন আসলে সরকারের অন্যায় নীতির আগুনেরই প্রতিফলন। ইউনুস সরকারের হাতে এখন একটাই কাজ ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তি আর দমন। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, অন্যায়ের এই রাজত্ব টিকবে না।
মন্তব্য করুন