নিজস্ব প্রতিবেদক
নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র্বের মৌলিক দায়িত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম, কিন্তু ইউনূস সরকারকে রক্ষণশীল ভূমিকায় বিগত এগারো মাসে একেবারেই দেখা যায়নি। বরং গোপালগঞ্জে নিরীহ জনগণের উপর সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর আদেশ দিয়ে রাষ্ট্র কেড়ে নিয়েছে ৪ জন নিরস্ত্র মানুষের জীবন।
সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশ ও সভা করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে ইউনূস সরকারই নাগরিকদের এই মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে, তাছাড়া এই এনসিপি সন্ত্রাসীদেরই বিগত দিনে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় নূর হোসেন দিবস পালন সহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের পূর্বের সব কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, নেতা-কর্মীদের মারধর করতে দেখা যায়। এমনকি, আওয়ামী লীগ অলিখিত ভাবে নিষিদ্ধ করার আগে কর্মসূচি পালনকৃত কর্মীদের ইউনূস সরকার বিভিন্ন অযুহাতে মামলাবিহীন গ্রেফতার এবং জেলা হত্যার মত নৃশংস ঘটনা চালায়।
জাতি আওয়ামী লীগের উপর অবর্ননীয় অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ মব করে জাতির পিতার বাড়ি সহ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতায় ইউনূস গং এর যোগসাজশ এবং মবকে প্রশ্রয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখেছে বহুবার। গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ষড়যন্ত্রমূলক বোধ করে, জাতির পিতাকে কটাক্ষ করে বকৃতার প্রতিবাদে এনসিপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে গোপালগঞ্জের আপামর সাধারণ জনত। কিন্তু পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে ৪জন নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিককে, বুট দিয়ে একজন গুলিবিদ্ধকে পিষে দিতেও দেখা যায় এক সেনাসদস্যকে এবং তার পাশেই এনসিপির একজন সিভিলিয়ান নেতাকে সেনাসদস্যকে নির্দেশনা ও গুলিবিদ্ধের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতাকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
পুলিশের বক্তব্যে অসংগতি, তদন্ত দাবি করে আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক দাবি করেছেন- পুলিশ কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে গুলির শব্দ ও আগ্নেয়াস্ত্র স্পষ্ট দেখা গেছে। আসকের প্রশ্ন- তাহলে গুলি চালাল কে? এই প্রশ্নের সদুত্তর না পেলে জনমনে বিভ্রান্তি, ভয় এবং প্রশাসনের প্রতি অনাস্থা আরও বাড়বে বলে আসক মনে করে।
মন্তব্য করুন