নিজস্ব প্রতিবেদক
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আবারও বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে—যা দলটির সহিংস রাজনীতির আরেকটি ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত হিসেবে সামনে এসেছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে বিএনপি নেতা আমিনুল আজিজ বাদশার বাড়ি থেকে তিন খণ্ড বিশিষ্ট একটি রাইফেল ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বাদশা দীর্ঘদিন ধরে ওই ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, অভিযানের সময় বাদশা পালিয়ে যান। পরে হাজীমারা ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযুক্ত নেতা গা-ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, এলাকাজুড়ে তার বাড়িটি আগে থেকেই সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত ছিল।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতা আমিনুল আজিজ বাদশা দাবি করেছেন এটি “ষড়যন্ত্র” এবং তার বাড়ি “পরিত্যক্ত”। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কীভাবে আধুনিক রাইফেল ও গুলি মজুদ থাকে, এবং কেন তা একজন বিএনপি নেতার ঠিকানায়?
রায়পুরের এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করছে, বিএনপির অনেক নেতাই রাজনীতির আড়ালে অস্ত্র ও নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন—যা দেশের শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য গুরুতর হুমকি।
মন্তব্য করুন