নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদেশে কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ হারাল বাংলাদেশ। বসবাসের অনুমতি না থাকায় চলতি বছরে ইতালি থেকে ১২০ জনের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকার ইতালীয় দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাস জানায়, সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর বসবাসের অনুমতি না থাকায় আরও ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন মাত্র এক মাস আগে লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করেছিলেন। ইউরোপীয় সীমান্ত সংস্থা FRONTEX-এর সহযোগিতায় এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কূটনৈতিক ব্যর্থতার একটি বড় উদাহরণ। নিয়মিত কূটনৈতিক যোগাযোগ ও শ্রমচুক্তি রক্ষা করা গেলে অন্তত ১২০ জন বাংলাদেশি কর্মী ইতালিতে বৈধভাবে কাজের সুযোগ পেতে পারতেন। কিন্তু সরকারে অনিশ্চয়তা, দূতাবাসগুলোর অদক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতিগত দুর্বলতার কারণে এ সুযোগ হারিয়েছে দেশ।
ইতালির দূতাবাস আরও জানিয়েছে, “অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে নৌকায় ইতালিতে প্রবেশ করা বা ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের ঘটনায় ধরা পড়লেই তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাবাসন করা হবে।”
এছাড়াও, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রে অন্তত তিন বছর প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবেন।
মানবাধিকার রক্ষা ও আইনি প্রক্রিয়া মেনে এ প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইতালির কর্তৃপক্ষ। তবে শ্রমবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে।
ইউনূস সরকারের কূটনৈতিক অনভিজ্ঞতা ও অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশে কর্মসংস্থান হারাচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকরা—যা দেশের অর্থনীতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
মন্তব্য করুন